
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে ভ্যান চুরির মীমাংসা করতে গিয়ে উল্টো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসী। ওই সালিশ বৈঠকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভেন্নাবাড়ি গ্রামের লিটন মেম্বারের এক সমর্থকের বিরুদ্ধে একই গ্রামের রেফায়েত ডাক্তারের সমর্থক ইব্রাহিম শেখের একটি ভ্যান চুরির অভিযোগ ওঠে। ইব্রাহিম শেখ পার্শ্ববর্তী জেলার এক গুণিনের (কবিরাজ) কাছে যায় চোর শনাক্ত করার জন্য। সেখানে ওই গুণিন লিটন মেম্বারের এক সমর্থকের নাম বলে।
তবে এক পক্ষের দাবি গুণিন যার নাম বলেছে সে ভ্যান চুরির সাথে জড়িত নয় এবং তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।
রবিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিয়ে লিটন মেম্বারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। কোনও পক্ষই এখনও থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে।’